রাকিবুল হাসান : আটুলিয়ায় ভুমি অফিসের নাকের ডগায় চলছে সরকারি জায়গা দখলের হিড়িক। উপজেলার সর্ববৃহৎ বাজার হওয়ায় বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষরা এ বাজারে আসে প্রয়োজন মিটাতে। তবে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভূমি কর্মকর্তার সহযোগিতায় বাজারের অধিকাংশ জায়গা দখল করে নিচ্ছে। নির্মাণ করছে অবৈধ স্থাপনা।এসকল স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে মোটা অংকের উৎকোচ দিতে হয় ভূমি কর্মকর্তাকে।ভূমি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করলে মিলবে সরকারি জায়গা। আইন অনুযায়ী ১টা ঘরের কাগজ দেখিয়ে দুই থেকে তিনটা ঘরে করে থাকে দখলদাররা।পাকা স্থাপনা করা বিধি নিষেধ থাকলেও আর সি সি প্লিয়ার দিয়ে ঘর করছে এসকল অবৈধ স্থাপনা। এছাড়া বাজারের খালি জায়গা দেখলে সেখানে দখল করে নিচ্ছে দখলদার মহল।আটুলিয়া ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা মো. আসরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ। মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে। সকারের ট’বাজারের জায়গায় বহুতল ভবন করার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। খোলপেটুয়া নদীর পশ্চিম কূলে অবস্থিত পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী নওয়াবেঁকী বাজার। বাজারের ভিতর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ স্থাপনা তৈরি হওয়াতে সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এধারনের অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠার কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।সরাজমিনে দেখা যায়, রবিউল ইসলাম গাইন,বিজয় দীপ্ত সাহা,মাহাবুবর রহমান,আব্দুর রাজ্জাক ফকির সহ অনেকে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় ভবন নির্মাণের কাজ করছে। এদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, কাগজ করে ঘর করছি এছাড়া ভূমি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে অতিরিক্ত জায়গা নিয়ে কাজ করছি।বাজার কমিটির সভাপতি চেয়াম্যান আবু সালেহ বাবু বলেন,বর্তমানে নায়েব খুব ঝামেলা করছে। কথায় কিভাবে দখল হচ্ছে আমার জানা নেই।যদি দখল হয় তাহলে কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করব যাতে দখল বন্ধ হয়। আটুলিয়া ভূমি কর্মকর্তা আসরাফুজ্জামান অভিযোগের বিষয় অস্বিকার করে বলেন, সরকারি কাগজ করে ঘর করছে।পাকা স্থাপনার বিষয় জানতে চাইল বলেন, ছাদ না করলে হল।ছাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। মো: শহিদুল্লাহ সহকারি কমিশনার (ভূমি) অবৈধ দখল করার সুযোগ নেই। যারা দখল করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *