সমাজের আলো: শেরপুরের নকলায় এক প্রেমিক যুগল আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে পুলিশ উপজেলার ৬নং পাঠাকাঠা ইউনিয়নের গোয়ালেরকান্দা এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। তারা হলেন হেলাল (৩০) ও হাসি (২৫)। এলাকাবাসীর ধারণা, পরকীয়ায় জানাজানি হওয়ার ভয়ে তারা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। হেলাল ওই এলাকার ইয়াদ আলীর ছেলে এবং প্রেমিকা একই এলাকার সোবহানের স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে স্থানীয়রা হাসির মরদেহ বাড়ির পাশে কাঠবাগানের একটি গাছের ওপর ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। একই সময়ে হেলালও নিখোঁজ হয়। পরে রাতেই অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে আর পাওয়া যায়নি। অবশেষে গতকাল ভোরে হেলালকে হাসির ঘরের পেছনে একটি গাছের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর ধারণা- দুজন একই সময়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান ফয়েজ মিল্লাত বলেন, ‘এলাকাবাসীর অনেকেই আমাকে হেলাল ও হাসির মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছেন।’ নকলা থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব ভৌমিক বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ কিছু বলছে না। আসল ঘটনা কী তা তদন্ত করে দেখা হবে। পরে আইন অনুযায়ী নেওয়া হবে ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, গত ৯ বছর আগে হাসির সঙ্গে বিয়ে হয় ওই এলাকার সোবহানের সঙ্গে। হাসির সাত বছরের এক ছেলে রয়েছে। হেলাল নিজেও বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক। হেলাল ও হাসির স্বামী সোবহান দূর সম্পর্কের চাচা-ভাতিজা। সোবহান ঢাকার গাজীপুরে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

