এস এম আবু রায়হান: সুপার ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে মূহুর্তেই মধ্যে তছনছ করে দিয়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধবকাটি আল আমিন মহিলা দাখিল মাদ্রাসাটি। প্রতিষ্ঠানটির অফিস শ্রেণীকক্ষ সম্পূর্ণ তিগ্রস্ত হয়েছে ভবনের পাশাপাশি মাদ্রাসার চেয়ার.টেবিল ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে প্রায় ৫ লাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে । এমন পরিস্থিতিতে উন্নয়ন বঞ্চিত মাদ্রাসা কর্তৃপ মাদ্রাসা সংষ্কারে সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপরে জরুরী হস্তপে কামনা করেছেন এলাকাবাসী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসাটিতে প্রায় সব শ্রেণীর শিার্থীদের ক্লাসরুম সহ অফিসরুম লন্ডভন্ড। ভবন সংষ্কারে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিলে সেখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরুপে ভেঙ্গে পড়বে বলে আশংকা করেন সেখানকার শিক্ষক,শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবক মহল। সুপার মাওলানা মোঃ গোলাম রসুল জানান, ১৯৯৯ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হলেও অদ্যবধি মাদ্রাসাটিতে কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।সারাদেশের ন্যায় এই অত্র প্রতিষ্ঠানটি সামগ্রিক উন্নয়নের সোনালী সময়েও উন্নয়ন কোনো ছোয়া লাগেনি । তবে সেখানকার শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের যৌথ প্রচেষ্টায় শিক্ষার মানও বরাবরই অনেক ভালো। মাদ্রাসার সহ-সুপার মোছা: আছিয়া খাতুন ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত থাকলেও সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাদ্রাটিতে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষা খাতে বিদ্যাপীঠটি সাতক্ষীরা শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও মাদ্রাসার উন্নয়নে এখন পর্যন্ত কেউ দৃশত কোন ভুমিকা রাখেনি।

ঠিক এমন পরিস্থিতিতে মাদ্রাসাটি ঝড়ের কবলে পতিত হওয়ায়,দেখার কেউ নেই। শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নিতে মূলত নানা আকাক্ষা জেঁকে বসেছে সেখানকার শিক্ষার্থী সহ শিক্ষক ও অভিভাবকদের। কতৃপক্ষের পাশাপাশি এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি যতদ্রুত সম্ভব মাদ্রাসাটির আশু সংষ্কারে বরাদ্দ দেয়া হোক।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *