স্টাফ রিপোর্টার : কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে শেখ আমজাদ হোসেন। কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা শেখ আমজাদ এবার মেয়র পদপ্রার্থী। কলারোয়ায় শেখ আমজাদ মানে কলারোয়ার জনপদেরর গরিব, দু:খি, অসহায় মানুষের মুখের হাসি। শেখ আমজাদ হোসেন মানে কলারোয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমিদাতা ও উন্নয়ন দাতা। প্রাকৃতিক দূর্যোগ বুলবুল ও আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে কলারোয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে শেখ আমজাদ হোসেনের নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন। এছাড়া মহামারী করোনার প্রদূর্ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় সরকারের পাশাপাশি শেখ আমজাদ হোসেন কলারোয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে লগডাউনে থাকা প্রায় ৩ হাজার ২শ কর্মহীন হতদরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে চাল, ডাল, লবন, আটা, আলু, তৈল, সাবান, মাস্কসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। প্রচন্ড শীতের মধ্যে অসহায় কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের পাশে কম্বল বিতরণ করেছেন আমজাদ হোসেন। বাংলাদেশের দক্ষিন বঙ্গেঁর সাতক্ষীরা জেলার কলোরোয়া উপজেলার তুলসিডাঙ্গাঁর সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার শেখ বাড়িতে ১৯৬৯ সালে ১ ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহন করেন এশেখ আমজাদ হোসেন। পিতাঃ মৃত শেখ আব্দুর রশিদ ও মাতাঃ ছায়রা খাতুন। শেখ আমজাদ হোসেন বর্তমানে দুই সন্তানের জনক। ছেলে বিবিএ এবং মেয়ে কম্পিউটার সাইন্সে পড়াশুনায় অধ্যায়নরত আছে কানাডাতে। শেখ আমজাদ হোসেন পড়াশুনার পাশাপাশি ছাত্রজীবন থেকে ব্যবসায়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। অক্লান্ত পরিশ্রম, সততায় আজ তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। ছাত্রজীবন থেকে শেখ আমজাদ হোসেন ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে আদর্শিত হয়ে ১৯৮১ সালে ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি কলারোয়া সরকারী কলেজ শাখার একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে ছাত্রলীগকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১১ সালে ১১ জানুয়ারী কলারোয়া পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনিত দলীয় প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহন করেন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক এবং ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে শেখ আমজাদ হোসেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনীধির দায়িত্বের পাশাপাশি অনেক সামাজিক উন্নয়ন, বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, শ্বশান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় ব্যক্তি অনুদান দিয়ে উন্নয়ন সাধন করে চলেছেন। শেখ আমজাদ হোসেন কলারোয়া ইউরেকা কমপ্লেক্স জামে সমজিদের জমিদাতা ও উন্নয়নদাতা, কলারোয়া তরকারি বাজার জামে মসজিদের জমিদাতা ও উন্নয়ন দাতা, যুগীবাড়ি বাসস্ট্যান্ড মসজিদে জমিদাতা ও কলারোয়ার মানুষের সু-চিকিৎসার জন্য তিনি জমি দান করে কলারোয়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং সাতক্ষীরার অসহায় ও অবহেলিত বাবা-মায়ের কথা চিন্তা করে মানবতার কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর পরিচালনায় একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং ইতিমধ্যে বৃদ্ধাশ্রম নির্মানের জন্য জমি দান করার মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন শেখ আমজাদ হোসেন। বর্তমানে তিনি কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুলের আজীবন দাতা সদস্য ও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউট এর আজীবন সদস্য তিনি। একটি স্বপ্ন, একটি আদর্শ, সাথে দৃঢ় মনোবল নিয়ে একজন আদর্শ পিতার সন্তান হিসেবে মানবতার মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সুযোগ্য সভাপতি জনাব মুনসুর আহমেদ ও সুযোগ্য সাধারণ সম্পাদক জনাব নজরুল ইসলামের নিদের্শনায় একজন কর্মী হিসেবে কলারোয়া পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভা নির্মানে আসন্ন কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে সৎ, সাহসী ও মানবিক মানুষ আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেন কলারোয়া পৌরবাসীর কাছে দোয়া, আর্শিবাদ ও সমর্থন কামনা করেছেন। শেখ আমজাদ হোসেনের বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বিশ্ব মানবতার মমতাময়ী মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট উৎক্ষেপন, রামপাল পারমানবিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। অবহেলিত কলারোয়া পৌরসভাকে উন্নয়নে এগিয়ে নিতে আসন্ন কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দোয়া ও মূল্যবান সমর্থনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। কলারোয়ার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামী ৩০ জানুয়ারি কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতিক কে বিজয়ী করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে কলারোয়া পৌরসভা উপহার দেবো ইনশাআল্লাহ।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *