সমাজের আলো : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রবাসীর স্ত্রী (২৫) ও দুই সন্তানের জননী স্থানীয় খানকা শরীফে মেয়ের জন্য তাবিজ আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। মাওলানা সিরাজুল ইসলাম নামে এক ইমাম তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ‘কুফরী বাণ’ দিয়ে মা-মেয়েকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বলে ঐ ধর্ষক ইমাম। এর দুই মাস পর ঐ নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এর পর স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য শালিসে বসলে পুলিশ খবর পেয়ে সেখান থেকে মাওলানা সিরাজুলকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এ ছাড়া সাভারে বাড়িওয়ালার সহায়তায় তার পরিচিত দুই লোক এক ভাড়াটিয়া পোশাক শ্রমিককে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বাড়িওয়ালাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। ওদিকে দিনাজপুরের বিরামপুরে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মনিরুজ্জামান মনির নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে খানকা শরীফের ইমাম মাওলানা সিরাজুল ইসলামকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। সে শ্রীরামপুর গ্রামের আবুল উলায়া খানকা শরীফের প্রধান পরিচালক ও সেখানকার মসজিদের ইমাম। ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নবীনগর থানায় মাওলানা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। জানা গেছে, দুই কন্যা সন্তানের জননী ঐ নারী বর্তমানে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। দুই মাস আগে আবুল উলায়া খানকা শরীফে ধর্ষণের শিকার নারী তার ৫ বছরের শিশু কন্যার জন্য তাবিজ আনতে গেলে দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করে সিরাজুল ইসলাম। পরে নারীকে হুমকি দেয়া হয় এ বিষয়ে কারও কাছে কিছু বললে কিংবা অভিযোগ করলে তার ও তার শিশুকে কুফরীর মাধ্যমে বাণ মেরে হত্য করা হবে। সে ভয়ে ধর্ষণের বিষয়টি এতদিন গোপন রেখেছিলেন ওই নারী। কিন্তু ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় স্বামীর বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে যায়। পরে ওই নারী ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য গ্রাম্য সর্দাররা নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শালিসে বসে। পুলিশ খবর পেয়ে ধর্ষক সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। সাভারে পালাক্রমে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৪ ॥ এক নারী পোশাক শ্রমিককে (২৩) পালাক্রমে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অজ্ঞাত দুই ধর্ষক পলাতক রয়েছে। শুক্রবার সকালে সাভার মডেল থানাধীন পৌর এলাকার আনন্দপুর মহল্লায় অভিযান চালিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- সাভার পৌরসভার আনন্দপুর মহল্লার মৃত আব্দুল আলিমের ছেলে বাড়ির মালিক মোঃ রুবেল আহম্মেদ (৪০), তার বাড়ির কেয়ারটেকার মোঃ ফিরোজ তালুকদার (৩৬), একই বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ সুমন হোসেন (২৪) ও তার স্ত্রী নিলুফা আক্তার (২১)। জানা গেছে, প্রায় ৫ মাস যাবত পৌর এলাকার আনন্দপুর মহল্লার মোঃ রুবেল আহম্মেদের মালিকানাধীন একটি ফ্ল্যাট বাসায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করে আসছে ভুক্তভোগী ওই নারী। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির মালিকের পূর্ব পরিচিত অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি চারজনের সহায়তায় তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এর আগেও অজ্ঞাত ওই দুই ব্যক্তি ভুক্তভোগী নারীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে শুক্রবার সকালে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *