সমাজের আলো: কম্পিউটার ল্যাব এ্যাসিসট্যান্ট ও অফিস সহায়কসহ নৈশপ্রহরী আর আয়া পদে নিয়োগের জন্য চারজনকে আগেই চুড়ান্ত করা হয়। দু’পক্ষের সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী আর্থিক লেনদেনের কাজও আগেভাগে মিটমাট হয়। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বৈধতা দিতে ১৩ ফেব্রæয়ারী রোববার বেলা দশটায় এসব পদের অনুকুলে আবেদনকারীদের যথারীতি পরীক্ষা নেয়া হয়।এদিকে আয়া পদে দরখাস্তকারী প্রার্থী শক্ত হওয়ায় মারুফা বেগম নামের এক প্রার্থীর আবেদনপত্র বাতিলপুর্বক পরীক্ষা কেন্দ্রে তার উপস্থিতির পথ রুদ্ধ করা হয়। তুঘলকি এমন কান্ড ঘটেছে শ্যামনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কৈখালী এসআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগকে কেন্দ্র করে।

জানা গেছে সম্প্রতি কৈখালী এসআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চারটি পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। স্বচ্ছভাবে নিয়োগের প্রচারনা চালিয়ে ঐসব পদের জন্য আবেদন করতে স্থানীয়দের মধ্যে আগ্রহী করে তোলা হয়। আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় লিখিতসহ মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে চুড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের ঘোষণাও দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ উঠেছে রোববার নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই চুড়ান্ত হয়ে যায় নিয়েঅগ প্রাপ্ত চারজনের নাম। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিসহ প্রধান শিক্ষক ইতিমধ্যে চারটি পদের জন্য ৫০ লাখ টাকার চুক্তিত চারজনকে চুড়ান্ত করে। প্রক্রিয়া অনুসরণের অংশ হিসেবে রোববার নামকাওয়াস্তে আবেদনকারী প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া ও দিন ধার্য্য করা হয়। আর বিষয়টি জানাজানি হলে রেশমা, আসমা, মারুফা বেগমসহ কয়েক আবেদনকারী পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আগেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। এসময় অভিযোগে তারা দাব করেন অফিস সহায়ক ও কম্পিউটার ল্যাব এ্যাসিসট্যান্ট পদেও জন্য প্রতিজনের নিকট থেকে ১৪ লাখ করে এবং অপর দুটি পদের জন্য মনোনীতদের নিকট যথাক্রমে ১০ লাখ হিসেবে টাকা নিয়েছে প্রধান শক্ষক ও সভাপতি।

আর বিষয়টি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আগেই জানাজানির কারেন রেশমা, আসমা মারুফাসহ কয়েখ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে লোকদেখানো এমন নিয়োগ পরীক্ষা বন্দের জন্য উপজেলঅ নির্বাহী অফিসারের নকিট লিখিত অভিযোগ জানিয়ে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আবারও পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেন।
অভিযোগকারীদের দাবি বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক ও কম্পিউটার ল্যাব এ্যাসিসট্যান্ট পদের জন্য মাথাপিছু ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে দিলীপ ও জাহিদ নামের দু’জনকে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি চুড়ান্ত। এছাড়া প্রতিটি পদের জন্য ১০ লাখ টাকার চুক্তিতে নৈশপ্রহরী হিসেবে নিমাই মন্ডল ও আয়াপদের জন্য পল্লী চিকিৎসক রতন মিস্ত্রির স্ত্রী মিনতী রানীর চাকুরী পুর্ব নির্ধারিত। অর্ধ্ব কোটি টাকার নিয়োগ প্রক্রিয়া অতিশয় গোপনে সম্পন্ন করতে বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের অনুকুলে প্রবেশপত্র পাঠানো হয় বলেও দাবি সংশ্লিষ্টদের।এদিকে আয়া পদের প্রার্থী মারুফা বেগম অভিযোগ করেছে যুক্তিসংগত কোন কারন ছাড়াই তার আবেদনপত্র বাতিল করা হয়। প্রধান শিক্ষকের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়াসহ চাহিদামত টাকা দিতে সম্মত না হওয়ার কারনে তার প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি। মারুফা বেগমসহ অন্যদের দাবি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বাইরে প্রশাসনের তত্বাবধানে উক্ত পদগুলোর জন্য আবেদনকারীদের সমগ্র নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক। অর্ধ্ব কোটি টাকার লেনদেনের লোক দেখানো পরীক্ষা বন্ধে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ কতৃপক্ষের আন্তরিক হস্তক্ষেপও দাবি করেন তারা।

এদিকে আরও অভিযোগ উঠেছে প্রবেশপত্র না পাওয়া প্রার্থীরা উধ্বর্দন কতৃপক্ষেল কাছে অভিযোগ জানানোর খবরে প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার মমুটোফোনে তাদের ডেকে পরীক্ষার তিরিশি মিনিট আগে প্রবেশপত্র সগ্রহ করতে বললেও তারা অস্বীতা অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাসারের ব্যক্তিগত মুটোফোন একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, টাকার লেনদেনের মাধ্যমে প্রার্থী চুড়ান্ত করার বিষয়ে আমার জানা নেই। শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরীক্ষার মাধ্যমে সৎ ও মেধাবীদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আক্তার হোসেনর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *