সমাজের আলোঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্পষ্ট সত্যকে মিথ্যা বানানোর অপচেষ্টায় সংবাদ সম্মেলন সহ নানা প্রকার ষড়যন্ত্রে সংগঠিত হচ্ছে কতিপয় সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারী ও নামধারী দু- একজন গণমাধ্যম কর্মী।
গতকাল সোমবার (০৬ জুলাই) বিকালে কলারোয়া উপজেলা সাংবাদিক পরিষদের ব্যানারে ঐ মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র বালিয়াডাঙ্গা বাজার মসজিদের সম্মুখে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারী,বিএনপি নেতা ও ভারতীয় গরুর মাংস ব্যবসায়ী স্থানীয় মৃত সামছের আলীর পুত্র মহসিন আলী ।
ঐ সংবাদ সম্মেলনে মহসিন আলী কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী বালিয়াডাঙ্গা বাজারে সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি বৈধ করার অবচেষ্টাও করেন।ঐ মহসিন আলী সরকারি ঐ সম্পত্তিকে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত বলে দাবি করেন ।কিন্তু সরকারি সম্পত্তি কিভাবে কেউ পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত হতে পারে তা স্থানীয় সূধীমহলের অজানা । ঐ মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনে মহসিন আলী বলেছেন তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ঐ বাজারে মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা করে,কিন্তু স্থানীয়রা আজ অবধি এমন কোন তথ্য জানেই না। এমনকি কথিত ঐ ভূমি দস্যু মহসিন নাকি ঐ সাংবাদিকের ভয়ে তার দোকান মেরামত করতে পারছে না! কিন্তু সত্য হলো ঐ ভূমি দস্যুদের দেয়া হুমকির বিপরীতে ঐ সাংবাদিক কলারোয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন । চাঁদা দাবির মতো এমনই কিছু ভূয়া তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও কলারোয়ার নামধারী এক সাংবাদিকের মাধ্যমে ঐ সংবাদ প্রকাশ ও করেছেন। স্পষ্ট সত্যকে মিথ্যা বানানোর অপচেষ্টায় করা এ সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক শফিকুর রহমান সহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ ,মহান স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।
প্রসঙ্গত: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা বাজারে ক্রমাগত ভাবে নির্মাণাধীন বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে আসছেন সাংবাদিক শফিকুর রহমান ।
সম্প্রতি ঐ বাজার মসজিদের সম্মুখে সরকারি জমিতে কলম পিলার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে ঐ মহসিন আলী ও তার সহদর ভাই একাধিক নাশকতা মামলার আসামি জামায়াত নেতা মিজানুর। এর পর এলাকাবাসী বিষয়টি কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনকে জানায় এবং ঐ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে সাংবাদিক শফিকুর রহমান সাতক্ষীরার বিভিন্ন পত্রিকা ,অনলাইন ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন। এরপর কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় সোনাবাড়িয়া ও কেড়াগাছি ইউনিয়নের সমন্বিত ভূমি অফিসের ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ঐ নির্মাণ কার্যক্রম স্থগিত করেন।
এতে করে গত ০৪ জুলাই ঐ বাজার কমিটির সেক্রেটারি মোঃ আলী হোসেনের ভূমি দস্যুদের ১০-১৫ জনের একটি দল সাংবাদিক শফিকুর রহমানের পিতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমানের কাছে সংবাদ প্রকাশের কৈফিয়ত চায় ও সাংবাদিককে খুঁজছে, সাংবাদিক তাই কি হয়েছে, পেলে হাত-ভেঙে দেবে,ছিড়ে ফেলবে সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিতে থাকে। এতে গত ০৫ জুলাই ঐ সাংবাদিক কলারোয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ঐ রাতে ঐ ভূমি দস্যুদের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিক শফিকুর রহমান ও তার পরিবার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা ধরনের হুমকি ও মানহানিকর পোস্ট ও মন্তব্য করতে থাকে। এমনকি গত ০৬ জুলাই বিকালে ঐ সাধারণ ডায়েরির পরিপ্রেক্ষিতে কলারোয়া থানার এ এস আই সোহেল রানা তদন্তে আসলে তার সামনেই পুলিশ চলে গেলে তোর ব্যাবস্থা করবো বলে হুমকি প্রদর্শন করে অভিযুক্ত মিজানুর । এরপর শুরু হয় নানা ধরনের ষড়যন্ত্র । কারন একটাই সাংবাদিকতার চোখ বন্ধ করতে পারলেই সকল অবৈধ কাজ বৈধ হয়ে যায় ।
এবং ঐ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সম্মিলিত সাংবাদিক পরিষদ (এসএসপি’র সাতক্ষীরা জেলা সমন্য়কারী,সীমান্ত প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক,জাতীয় দৈনিক আজকালের খবর,দৈনিক কাফেলা,কলারোয়া নিউজ,দ্যা এডিটরস এর সাংবাদিক শফিকুর রহমান বলেন,রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে সরকারি জমিতে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের সংবাদ প্রকাশ করায় আমার বিরুদ্ধে হুমকি, সাইবার অ্যাটাক,ও ভূয়া সংবাদ সম্মেলন করেছে। প্রশাসন স্পট তদন্ত করলে বিষয়টির সত্যতা জানতে পারবে। আমি ঐ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীন বোধ ও আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে কলারোয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। এবং আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর পোস্ট ও মন্তব্যের বিপরীতে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি , রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে সংবাদ প্রকাশ করায় হুমকি, মিথ্যা ও মানহানিকর অপপ্রচার কারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ দিকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।

