সমাজের আলো: মন্ত্রী, এমপি, সচিব ও চিকিৎসক নেতাদের করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বলেন, আশা করি, ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে সবাই ভ্যাকসিন নেয়া শুরু করবেন । ভ্যাকসিন নেয়ার মাধ্যমে দেশ করোনামুক্ত হবে। গতকাল রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এসেন্ড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বিশ্ব এনটিডি দিবস উদ্যাপন’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সিনিয়র কলিগ যারা এমপি আছেন, মন্ত্রী আছেন, সচিব আছেন তাদেরকে আমরা ভ্যাকসিনের প্রোগ্রামে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাই। আমাদের বিএমএ’র সভাপতি এবং স্বাচিপের সভাপতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন উনারাও একযোগে ভ্যাকসিন নেবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা ছাড়া এই করোনাভাইরাস দেশ থেকে একেবারে নির্মূল করা দুরূহ কাজ। আগের ইতিহাসও একই কথা বলে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলেই এর আগে পৃথিবী থেকে পোলিও, প্লেগসহ অন্যান্য মহামারিগুলো বিদায় নিয়েছে। অথচ ভ্যাকসিন প্রয়োগে দেশে এখন কিছু মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সিনিয়র কলিগ যারা এমপি আছেন, মন্ত্রী আছেন, সচিব আছেন তাদেরকে আমরা ভ্যাকসিনের প্রোগ্রামে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাই। আমাদের বিএমএ’র সভাপতি এবং স্বাচিপের সভাপতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন উনারাও একযোগে ভ্যাকসিন নেবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা ছাড়া এই করোনাভাইরাস দেশ থেকে একেবারে নির্মূল করা দুরূহ কাজ। আগের ইতিহাসও একই কথা বলে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলেই এর আগে পৃথিবী থেকে পোলিও, প্লেগসহ অন্যান্য মহামারিগুলো বিদায় নিয়েছে। অথচ ভ্যাকসিন প্রয়োগে দেশে এখন কিছু মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এই বিভ্রান্তির ফলে শুরুতে মানুষের মনে ভয়ের শঙ্কা থাকলেও এখন ধীরে ধীরে তা কেটে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কেউ যদি অনলাইনে নিবন্ধন না করতে পারেন তাহলে কেন্দ্রে এসে টিকার নিবন্ধন করার সুযোগ থাকবে। টিকার জন্য ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্রে নিবন্ধন করা যাবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আরো বলেন, বিশ্বে বর্তমানে ১৭০ কোটি মানুষ এনটিডি (Neglected Tropical Diseases) তে আক্রান্ত। বর্তমানে বিশ্ব ২০টি রোগকে এনটিডি (ক্রান্তীয় অবহেলিত রোগ) হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ১৩টি রোগকে নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে। অবশিষ্ট ৭টির মধ্যে জলাতঙ্ক, কালাজ্বর, কুষ্ঠরোগ দেশ থেকে বিদায়ের পথে রয়েছে। সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সরকারের টাকায় কেনা একটি ভ্যাকসিন যেন অপচয় বা নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে।
কেউ যদি নিবন্ধন করতে না পারেন তাদের জন্য বিকল্পভাবে টিকার ব্যবস্থা করা হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, এই করোনা মহামারিতেও এনটিডি রোধে সরকার যে ভূমিকা রেখে চলেছে এতে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যেই অন্তত ২টি এনটিডি রোগকে দেশ থেকে নির্মূল করা সম্ভব হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ (স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাচিপ-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বারদান জং রানা, এনসিডিসি-এর লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন প্রমুখ। টিকা নিবন্ধন পরিস্থিতি: এখন গড়ে প্রতিদিন ৮ হাজার করে করোনার টিকা নিতে নিবন্ধন করছেন আগ্রহীরা। গতকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ৬দিনে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে করোনার টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৪৮ হাজারের কিছু বেশি।