খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় দুই খালাতো বোনকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এক বোনের ২ বছরের শিশুকে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাদের যৌন নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৬)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বটিয়াঘাটার ফুলবাড়ীর মৃত মোহম্মদ শেখের ছেলে মুজাহিদ শেখ ও আজনবী মোড়লের ছেলে আজিজুল মোড়ল ওরফে মিশরিয়া। অপরদিকে, পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাঈম নামে একজনকে আটক করেছে। বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জালাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খুলনার লবণচরাস্থ কার্যালয়ে আজ দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব ৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ।র‌্যাব ৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ জানান, প্রাথ‌মিক জিজ্ঞাসাবা‌দে তারা ঘটনার সা‌থে জ‌ড়িত ব‌লে স্বীকার ক‌রেছে। ত‌বে এ ঘটনার সা‌থে আর কারা জ‌ড়িত তা জিজ্ঞাসাবা‌দে জানা যা‌বে। ওই দুর্বৃত্তরা মুলত ওই বা‌ড়ি‌তে ধর্ষণের জন‌্যই যায়। এরা লম্পট প্রকৃ‌তির, কোন রাজ‌নৈ‌তিক দ‌লের সদস‌্য নয়। ত‌বে অন‌্যান‌্যদের গ্রেপ্তা‌রে অ‌ভিযান অব‌্যাহত রয়েছে।

ভুক্তভোগী দুজন সম্পর্কে খালাতো বোন। এর মধ্যে এক জনের বয়স ১৩ এবং অপর জনের বয়স ২২ বছর। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।আসামিদের বটিয়াঘাটা থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।এর আগে, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামে দুই খালাতো বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।১৩ বছরের শিশুর মা বলেন, ‘শনিবার বিকেলে আমি বোনের বাড়ি ডুমুরিয়ায় গিয়েছিলাম। আমার স্বামী বাগেরহাটে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। এ সময়ে বাড়িতে ওরা দুই বোন ছিল। মধ্যরাতে ৭ জন আমাদের বাড়িতে যায়। তাদের কয়েকজন বাইরে পাহারায় থাকে আর কয়েকজন ঘরে ঢুকে দুই মেয়েকে হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।

তিনি আরও বলেন, ‘ভোররাতে মেয়ে আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। আমরা গিয়ে তাদের মেডিকেলে নিয়ে আসি। ঘটনার সময় বড়মেয়ের সন্তানের গলায় ছুরি ধরা হয়েছিল। পরে তাকে পানিতে ডুবিয়ে রাখে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বড় মেয়ে সেখানে গেছে ছেলে নিয়ে। সেও বেশ অসুস্থ।’




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *