আজহারুল ইসলাম সাদীঃ প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের মামলায়, আদালতের কাঠগড়া থেকে পালিয়ে যাওয়া একাধিক মামলার আসামী ফাস্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিঃ এর ম্যানেজার প্রতারক ডা. ওমর ফারুক অবশেষে পুলিশের খাঁচায় বন্দী। গত ১৯জানুয়ারি-২০২০, সি.আর -৬৪০/১৬ (৭) ও ফৌজদারী কার্যবিধির ৭৫ ধারার মামলায় আদালতে, হাজির হলে তার বিরুদ্ধে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও গ্রাহকদের সমুদয় টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এসময় প্রতারক ম্যানেজার ডা. ওমর ফারুক সুযোগ বুঝে আদালতের কাঠগড়া থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আদালতের কাঠগড়া থেকে পালিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা পেলেননা, প্রতারক ওমর ফারুক, অবশেষে পুলিশের খাঁচায় বন্দী হলেন তিনি। তাকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ বিভিন্ন যায়গায় অভিযান চালায়। কিন্তু প্রতারক সুচতুর ডা. ওমর ফারুক গা ঢাকা দেয় তার শ্বশুর বাড়ি যশোরের মনিরামপুরে। সাতক্ষীরা সদরের পৌরসভাধীন কাটিয়া লস্করপাড়া এলাকার, ফাস্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিঃ এর ম্যানেজার ডা. ওমর ফারুক ও তার অন্য দুই ভাই জাহিদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামসহ সহদর তিন ভাই প্রতারক হিসেবে, দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের মামলায় দীর্ঘদিন ধরে তারা পলাতক ছিল। অবশেষে শনিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যশোরের মনিরামপুর থানা পুলিশ প্রতারক তিন সহদরের বড় ভাই প্রতারক, ফাস্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিঃ এর ম্যানেজার ডা. ওমর ফারুককে যশোরের মনিরামপুর তার শ্বশুর বাড়ির এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের নিকট আসামী প্রতারক ম্যানেজার ডা. ওমর ফারুককে হস্তান্তর করে। সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের এএসআই মনিরুল ইসলাম পলাতক আসামী ওমর ফারুককে রোববার (১ নভেম্বর) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন।