সমাজের আলো: আবুল কালাম গাজী (৪৭) নদীতে মাছ ধরে সংসার চলে তার। ঝুঁর্কিপূণ হওয়ায় আম্পানের আগে প্রশাসের তাকে সাইক্লোন সেল্টারে নিয়ে যান। ঝড়ের পরে এসে দেখেন তার ঘরটি আর নেই। টিনের চাল উড়ে গেছে মাটির দেয়াল পড়ে গেছে। উপকূলে থাকলে এমন প্রাকৃতিক দুযোর্গের সঙ্গে যুদ্ধ করতেই হবে। আম্পানের পর সরকারিভাবে পাওয়া টিন এবং একটি সংস্থা থেকে কিছু টাকা ঋণ নিয়ে আবারও একটি ইটের ঘর তুলেন সেখানে। কিন্তু বিধিবাম। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে এবং অমাবস্যার প্রবল জোয়ারে কপোতাক্ষের বাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগরের কুড়িকাহুনিয়াসহ পুরো ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। এতে আবুল কালামের ঘর-বাড়ি ক্লোজারে (খাল) চলে গেছে। আগে থেকে বুঝতে পেরে কিছু জিনিসপত্র সরিয়ে রাখতে পেরেছিলেন। সেসব জিনিসপত্র নিয়েই বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে নৌকায় করে এসেছেন প্রতাপনগরের লস্কারী খাজরা চেয়ারম্যান বাড়ির রাস্তার সামনে। তার মতো অনেকেই বানের জলে সব হারিয়ে ছেড়েছেন ভিটে-মাটি। শুধু প্রতাপনগর নয়, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে যুদ্ধ করতে না পেরে সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর ও আশাশুনির শ্রীউলার মানুষ জলবায়ু উদ্ধবাস্তু হচ্ছে।