সমাজের আলো: বহুল আলোচিত কলারোয়া উপজেলা সদরে তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি হামলা মামলার রায় প্রদান করা হয়েছে। মামলার ৪৯ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কলারোয়া উপজেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক আব্দুর রকিব, সাবেক মেয়র আক্তারুজ্জামান, যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেন রয়েছে। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিসেট্রট আদালতে বিচারক হুমায়ূন কবির এ রায় প্রদান করেন । সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আশরাফ হোসেন ২)আব্দুল কাদের বাচ্চু ৩)মোঃনজরুল ইসলাম ৪)মোঃআঃরাজ্জাক ৫)শেখ তামিম আজাদ মেরিন ৬)মোঃ আঃ৷৷ ৷ ৷ ৭)মোঃআক্তারুল ইসলাম ৮)মোঃমফিজুল ইসলাম ৯) মোঃ আঃমজিদ ১০)মোঃহাসান আলি ১১)ময়না ১২)মোঃ আঃসাত্তার পিতা-আঃলতিফ সানা ১৩)মোঃতোফাজ্জেল হোসেন মেন্টু ১৪)মোঃজহুরুল ইসলাম ১৫) গোলাম রসুল ১৬) এ্যাডঃমোঃ আঃসাত্তার পিতা-দাউদ আলী ১৭)মোঃ আঃসামাদ পিতা-সহিল উদ্দীন ১৮)মোঃআলাউদ্দীন ১৯)মোঃআলতাফ হোসেন ২০)শাহাবুদ্দীন ২১)মোঃসাহেব আলী ২২)মোঃসিরাজুল ইসলাম ২৩)রকিব পিতা-মীর গোলাম মোস্তফা ২৪)ট্রলি শহিদুল ২৫)শেখ কামরুল ইসলাম ২৬)মোঃমনিরুল ইসলাম ২৭)মোঃইয়াছিন আলী পিতা-মৃত ইউসুফ আলী মুন্সী ২৮)শেলী২৯)মোঃশাহিনুর রহমান ৩০)বিদার মোড়ল ৩১)মোঃসোহাগ হোসেন ৩২)মাহাফুজুর মোল্যা পিতা-ফজলু মোল্যা ৩৩)মোঃআঃগফফার গাজী ৩৪)রিংকু ৩৫)মোঃহাবিবুল ইসলাম হাবিব ৩৬)এ্যাডঃমোঃআব্দুস সামাদ ৩৭)টাইগার খোকন ও বেড়ে খোকন পলাতক আসামিরা হলেন ৩৮)খালেদ মজুর রোমেল ৩৯)মোঃআরিফুল রহমান ৪০)রিপন ৪১)মোঃইয়াছিন আলী পিতা-আক্তার আলী ৪২)মোঃরবিউল ইসলাম ৪৩)মোঃ৷ ৷৷৷ ৪৪)মোঃ আব্দুল খালেক ৪৫)মোঃআব্দুল রব ৪৬)সাজু ৪৭)মোঃনাজমুল হোসেন ৪৮)জাবিদ রায়হান লাকী ৪৯)কনক ৫০)মোঃমাহফুজুর রহমান পিতা -মৃত লুৎফর রহমান। প্রসঙ্গত ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলারোয়া উপজেলা হিজলদী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের ধর্ষিত স্ত্রীকে সদর হাসপাতাল থেকে দেখে যশোরের দিকে যাচ্ছিলন গাড়ি বহর নিয়ে। পথিমধ্যে কলারোয়া উপজেলা সদরে বিএনপির অফিসের সামনে পৌছালে সাবেক এমপি হাবিবের নির্দেশে আসামিরা শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলা চালায়। তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা আহত হয়। হামলা চালানো হয় সাংবাদিকদের উপর। এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।মামলাটি দীর্ঘ ১৮ বছর আটকে ছিল উচ্চ আদালতে।অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হলো। মামলায় আসামিদের সাজা প্রদান করা হলো ।