সমাজের আলো : তালা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য শেখ আছাদুল ইসলাম (৪১) ও তার স্ত্রী রিনা খাতুন (৩০) কে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন পরাজিত প্রার্থী আব্দুল আলিম (৩৫)। সে একই এলাকার মৃত নুর আলী মোড়লের ছেলে।
সোমবার (২৯ মে) সকাল ৭টার দিকে আগলঝাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল শেখের বাড়ির উঠানে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল জলিল (৩৫), তার স্ত্রী আছিয়া বেগম (৩০), নজরুল শেখ (৩৭)সহ অনেকেই জানান, সকালে আসাদ মেম্বর ও খোদাবক্স হালাদার (৬৭) পাকা রাস্তার উপর বসে গল্প করার সময় ঘের সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আলিম ও লুৎফর শেখ মোটরসাইকেল যোগে এসে পাশের বাড়ির খলিলকে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে আসাদ মেম্বরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও মারতে উদ্ধত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে সে আমাদের বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে। এসময় আলিম পিছন দিক থেকে ছুটে এসে মেম্বরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আমাদের ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সে পালানোর সময় আসাদের স্ত্রীকেও মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে আহত করে। এলাকার লোকজন তাদের উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করেন। মামলা থেকে বাঁচতে আলিমও ব্লেড দিয়ে মাথা কেঁটে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে তারা জানান।
আহত ইউপি সদস্য আসাদ জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে পরাজিত প্রার্থী আব্দুল আলিম। এবছর জানুয়ারি মাসে আমাদের গ্রামের পাশে দধিসরা বিলের ঘেরটি আমি রেজিস্ট্রি ডিট করে ভোগ দখলে আছি। গত সপ্তাহে তেঁতুলিয়ার দৈয়দ জুনায়েদ আকবর ও আলিম যাদের জমি নেই তাদের কাছে থেকে ডিট করে দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দখল করতে না পেরে ও নির্বাচনে পরাজিত হয়ে প্রতিশোধ নিতে আমার ও আমার স্ত্রীর উপর হামলা করে আহত করেছে। সে গত রাতেও আমাকে হত্যা করার জন্য এলাকার চিহ্নিত ব্যক্তিদের একত্রিত করে রাস্তায় ওৎপেতে বসে ছিল। বিষটি জানতে পেরে ঐ রাতে ঘের থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে আসি জানান তিনি।
এবিষয়ে আব্দুল আলিম বলেন, আমাকে মারা জন্য গতরাতে মেম্বর গুন্ডা ভাড়া করে নিয়ে এসেছিল। আমরা গ্রামবাসি প্রতিরোধ করলে পালিয়ে যায়। সকালে আমি এ কথা জানতে গেলে ১৫-২০জন একত্রিত হয়ে আমাকে মেরে আহত করেছে। রিনা খাতুনের মাথা কি ভাবে ফেটে গেল এমন প্রশ্নের তিনি কোনো সঠিক জবাব দিতে পারেননি। নিজের মাথা নিজেই কাটার কথা তিনি অস্বীকার করেন।