সমাজের আলো রিপোর্টঃ সাবধান ঈদকে সামনে রেখে মহিলা কাপড় চোর চক্রের সদস্যরা তৎপর হয়ে উঠেছে। জেলা শহরের কাশিমপুরে, রসুলপুর, কদমতলা,কাঠিয়া বকচরা এলাকার শতাধিক মহিলা কাপড় চোর চক্রের সদস্য রয়েছে।ঈদ, পূজায় বিভিন্ন এলাকার বড় বড় মার্কেটে এ সদস্যরা ৩\৪ জনের দল তৈরি করে কাপড়ের দোকানগুলিতে ঢোকে।ভিড় সৃষ্টি করে কাপড় নিয়ে সটকে পড়ে।কাপড় চোর চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় ক্রেতা সেজে কাপড়ের দোকানে চুরি করতে ঢোকে তিন পেশাদার মহিলা চোরকে হাতে নাতে আটক করেছে বাজারের ব্যবসায়ীরা।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, শনিবার সকাল ১১ টার দিকে তিন মহিলা ক্রেতার বেশ ধারণ করে চুরির উদ্দেশে বুধহাটা বাজারের আছাফুর মার্কেটে অবস্থিত ব্যবসায়ী আহাদুর রহমানের সিট কাপড় ও গার্মেন্টেস এর দোকান ‘মদিনা ফ্যাশনে’ যায়। এসময় তাদের মধ্যে দুজন কাপড় দেখতে থাকে আর অন্য জন বিক্রেতার চোখ ফাঁকি দিয়ে থান কাপড়ের একটি রোল বোরখার মধ্যে নিয়ে পালাচ্ছিল। মার্কেটের অন্য ব্যসায়ীরা ঘটনা দেখে ফেলে তাকে সহ তিনজনকেই হাতে নাতে ধরে ফেলে। আটককৃতরা হলো, সাতক্ষীরা সদরের কাশেমপুর গ্রামের কামাল হোসেনের স্ত্রী পলি খাতুন (২৮) ও তার বোন জলি খাতুন (২০) এবং একই গ্রামের খলিলের স্ত্রী ফরিদা খাতুন (৪০)। মার্কেটের ব্যবসায়ী বিসমিল্লাহ বস্ত্রালয়ের মালিক শহিদ হাসান জানান আগের দিন শুক্রবার আমার দোকানে ও বাজারের রিতু বস্ত্রালয়ে ওই তিন মহিলা এসেছিলো এবং দুই দোকান থেকে কাপড়ের রোল চুরি হয়ে যায় যেটা সেদিন ধরা পড়েনি। শনিবার বাজারে ওই তিন মহিলাকে দেখে সন্দেহ হয়।গতিবিধির উপর নজর রাখতে থাকি এবং ওই দোকান থেকে কাপড় চুরি করে পালানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে। আটককৃতদের জনরোষ থেকে বাঁচাতে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি এজদান আলী, শ্রমিকলীগ সভাপতি হাতেম আলী ও যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন তাদেরকে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে পরে আশাশুনি থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন।