যশোর অফিস : জাল দলিল সৃষ্টি ও শ্বশুরকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ তুলে জামাই মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু’র বিরুদ্ধে “সংবাদ সন্মেলন” করেছেন করে প্রতিকার চেয়েছেন ভুক্তভোগী শ্বশুর রবিউল ইসলাম। তিনি যশোর জেলার শার্শার বেনাপোলের ভবারবেড় গ্রামের বাসিন্দা।
আজ (২৩ আগস্ট) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে লিখিত সংবাদ সম্মলনে তিনি অভিযোগে বলেন, আমার মেয়ে মিথ্যা বয়ান না দিলে তাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে আমাকে ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে পাপ্পু।
এরআগে রবিবার(২১ আগষ্ট) বিকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বেনাপোল একতা প্রেসক্লাব বেনাপোলে একই ঘটনায় সংবাদ সন্মেলন করেন শ্বশুর রবিউল ইসলাম কালু।
তিনি বলেন, আমার তফসিলি জমি বেনাপোল মৌজার এস এ খতিয়ান ন্ং-২৭৩,আর এস খং নং-৭২৮,নামপত্তন খং নং-১৩৫৯,এস এ দাগ নং-৬০১,আর এস দাগ নং-৮৮৪ জমির পরিমান-০৫ শতক ও বোয়ালিয়া মাঠের ঘের যা আমি আমার পুত্র ইকবাল হোসেনের নামে রেজিস্ট্রি করে দিই। আমার কন্যা লাভলী আক্তারের নামে প্রতারক স্বামী মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু জাল দলিল সৃষ্টি করে জমি দখলের চেষ্টা করছে।
শার্শা সাব রেজিস্টার থেকে সৃষ্টি করা অবিকল নকল দলিল সরবরাহ করা হয়েছে (যা আমার হস্তগত হয়েছে)। প্রকৃত দলিলে গ্রহিতা শুধুমাত্র আমার ছেলে ইকবাল হোসেনের নাম ছাড়া আমার কন্যার নাম কিংবা কোন ছবি ছিল না। যার দলিল নং-৪১৭৯ তারিখ-১২/৬/২০১৬ ইং।
চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে, জালিয়াতিকারি জামাই মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু উল্লিখিত তফসিলি জমির দলিলে তার স্ত্রী লাভলী আক্তার (আমার কন্যার ছবি সংযুক্ত করা একটি জাল দলিল আমাকে দেখিয়ে বলছে এই জমির গ্রহিতা এখন ইকবাল হোসেন এবং লাভলী আক্তার। আমি জামাইয়ের দেখানো দলিলটি যাচাই-বাছাই করে দেখি আমার প্রাপ্ত দলিলের সাথে এর কোন মিল নাই অর্থাৎ দলিলটি সম্পূর্ণ জাল করা হয়েছে। দেখানো দলিলটিতে দেখা যায় রেজিস্ট্রী’র তারিখের স্থানে কাটাকাটি, নামের স্থানে কাটাকাটি, স্ট্যাম্প ভেন্ডারের নাম নাসির লেখা হয়েছে যা সঠিক নয়, লাইসেন্স নম্বরও ভিন্ন, জাল নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নম্বর-ঢ১৫৮২২৮২ যা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এই জাল দলিলের বিরুদ্ধে আমি বিজ্ঞ সিনিঃ জুডিঃ ম্যাজিস্ট্রেট বেনাপোল পোর্ট আমলী আদালত,যশোর বরাবর মামলা করি। মামলা নং-সিআর ৪৬/২১।প্রতারক এবং জাল দলিল
সৃষ্টিকারী মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু’র বিরুদ্ধে মামলা করায় সে ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে,আমার বসবাস ভিটার ভাড়াটিয়াদের বিভিন্ন মাস্তান দিয়ে ভয়ভিতি দেখাচ্ছে,প্রশাসন দিয়ে হয়রানির হুমকি দিচ্ছে,আমার বিরুদ্ধে মিডিয়ায় বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে,মিথ্যা মামলার হুমকি দিচ্ছে,পক্ষান্তরে কথিত ক্রসফায়ারে নিহত মাদক সম্রাট সেলিমের বউকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে আমার মেয়ের উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার শুরু করেছে। সে মিডিয়ার ছত্রছায়ায় থেকে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রমরমা মাদক পাচার করে চলেছে।
এ সকল বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে আমি সংবাদ সন্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি,সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট আমার একটিই দাবি প্রতারক জামাইকে আইনের আওতায় এনে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ পুর্বক তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এ বিষয়ে সংবাদ সন্মেলনে অভিযুক্ত মুসলিম উদ্দিন পাপ্পুর মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, এটা আমাদের পারিবারিক ব্যাপার। আর সম্পতি জাল করে নেওয়া যায়না। ঐ সম্পত্তি আমার স্ত্রীর অর্থে ক্রয় করা এবং যার খাজনাও পরিশোধ করা আছে। আর আমি কোন ২য় বিবাহ করিনি এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বরং তিনি নিজেই কাজের মহিলাকে বিয়ে করেছিলো। যেটা আমি তালাক করানোর করাণেই আমার উপর তার রাগ। ওনার নামে কটা মামলা আছে আগে সেটা খোঁজ নেয়ার কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য- অভিযুক্ত পাপ্পু একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলের বেনাপোল প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *