সমাজের আলো : শ্যানমনগরের কৈখালীতে কোন ভাবেই থামছে না অবৈধ বালু উত্তোলন ৷ শ্যামনগর উপজেলার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পরানপুর বি জি বি ক্যাম্প হইতে গংগা রামের মোড় ৩ কিলোমিটার কারপেটিং রাস্তা টেন্ডার গ্রহণ করেন ৷ কোভিট-১৯ ও বর্ষার মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকায় ঐ এলাকার মানুষ পড়ে চরম দূর্ভোগে ৷ সব কিছু নিয়ন্ত্রণ ও বর্ষার পর কাজ শুরু করেছে কিন্তু রাস্তার বেডে বালু দিতে সরকারি বাজেটে প্রতি ঘনফুট ১৭ টাকা হলেও স্থানীয় ভাবে ১৪টাকা ঘনফুটে বোরিং করে মাটির তলদেশ থেকে অবৈধ ভাবে বালু উঠাচ্ছে শ্যামনগর উপজেলার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, পুকুরে ও রাস্তার পাশে মৎস্য ঘের থেকে সরকার নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বোরিং করে বালু উত্তোলন করছে। বালু উওোলনের বিষয়ে ড্রেজার মেশিনের মালিক হাবিবুর রহমান, ইউনুচ আলি, আঃ সালাম, বলেন আমরা পুকুর ও ঘের মালিক কে প্রতি ঘনফুট বালু ২ টাকা ও ড্রেজার প্রতি ঘনফুট ৫ টাকা হারে দিয়ে বালু উঠাচ্ছি ৷

এ বিষয় ড্রেজার মালিক হাবিবুর রহমান,ইউনুচ আলি, আঃ সালাম বলেন, আমাদের শ্যামনগরের মামুন নামের একজন ব্যাক্তি দ্বায়িত্ব নিয়ে বালু উঠাচ্ছে ৷ আমাদের ৫ টাকা দরে প্রতি ঘনফুট বালু উঠানোর কথা হয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিককে আমরা চিনিনা। এলাকার কয়েকজন সচেতন ব্যাক্তি বলেন উঠতি বয়সের ও প্রভাবশালী কিছু ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে অবৈধ্য বালু উঠানো হচ্ছে।

এদিকে কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন, বোরিং করে মাটির নিচ থেকে কোন মতেই বালু উঠানো ঠিক না ৷ আমাদের এলাকাটি প্রতিবেশ সংকটপন্ন এলাকা ৷ সরকারের কাছ থেকে টেন্ডার গ্রহণ করেছে বালু মহল থেকে বালু আনতে হবে ৷ এভাবে অবৈধপন্থায় বালু উঠাতে পারে না ৷এদিকে উপজেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছবিরার রহমান বলেন, বোরিং করে বালু উত্তোলন করলে প্রাকৃতিক ভারসম্য সহ পরিবেশের ক্ষতির মধ্যে স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলে নেতিবাচক পরিবর্তন, ভূগর্ভস্থ পানি ও বায়ুদূষণ, প্রাকৃতিক ভূচিত্র নষ্ট হওয়া সহ বিভিন্ন ক্ষতির আশংকা রয়েছে ৷বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃশহিদুল্লাহকে বার বার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।




Leave a Reply

Your email address will not be published.