জীবননগর প্রতিনিধি (চুয়াডাঙ্গা) ঃ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নতুন তেতুলিয়া গ্রামের মেয়ে ও দামুড়হুদা

উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের গৃহবধু মনিকা(২০) তার স্বামীর পরকীয়া প্রেমে
বাঁধা দেয়ায় গৃহবধুকে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করা হয়েছে। ঘটনাটি
শুক্রবার দুপুরের দিকে সংঘটিত হয়েছে। আহত গৃহবধুকে পিতামাতা উদ্ধার করে
জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধুর বাবা নির্মান শ্রমিক মনির হোসেন বলেন,আমার মেয়ে
মনিকা খাতুনকে(১৯) গত তিন বছর আগে দামুড়হুদা উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের
শফিকুল ইসলামের ছেলে সাকিল হোসেনের(২২) সাথে বিয়ে দিই। বিয়ের কিছুদিন
যেতে না যেতেই আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে। আমি
মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে কয়েক দফায় লক্ষাধিক টাকা,গরু,ছাগল ও বিভিন্ন
আসবাবপত্র প্রদান করি। এদিকে সাকিল হোসেন বিভিন্ন মেয়ের সাথে পরকীয়া
সম্পর্ক গড়ে তোলে। সর্বশেষ সাকিল হোসেন এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া
সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই ঘটনায় আমার মেয়ে তাকে বাঁধা দেয়ায় আমার মেয়ের ওপর
ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এদিকে কৌশল হিসাবে সাকিল হোসেন,তার মা সাকিরন নেছা ও
মামা সাহাবুল আমার মেয়ের নিকট যৌতুকের এক লাখ টাকা দাবি করতে থাকে।
কিন্তু আমার মেয়ে আমার বাড়ী থেকে উক্ত টাকা নিয়ে যেতে রাজি না হওয়ায় তারা
আমার মেয়েকে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে শুক্রবার দুপুরের
দিকে তারা আমার মেয়ে মনিকা অমানসিক নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়। আমরা ঘটনা
শুনে মারাত্মক জখম অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি
করি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধু মনিকা খাতুন বলেন,আমার স্বামী সাকিল হোসেন
একের পর এক পরকীয়া প্রেমে আসক্ত। সর্বশেষ এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রীর
সাথে পরকীয়া সম্পর্ক করার ঘটনায় আমি প্রতিবাদ করায় তারা সবাই আমার ওপর
ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এখন তারা যৌতুকের দাবীতে আমাকে অত্যাচার নির্যাতন করে
বাবা-মায়ের বাড়ীতে তাড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমাকে তালাকের হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে জীবননগর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন,ঘটনাটি আমি শুনেছি।
মনিকার বাবা আমার নিকট এসেছিলেন। আমি বিষয়টি শান্তিপুর্ণ ভাবে আপস
নিস্পত্তি করা যায় কি না চেষ্টা করছি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) স্বপন কুমার দাস বলেন,ঘটনার
ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা
হবে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *