সমাজের আলো : ধানদিয়া গ্রামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী অপহরণের ৫দিন পেরিয়ে গেলেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সরেজমিনে ওই পরীক্ষার্থীর মা জানান, গত এক মাস ধরে নীলকণ্ঠপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে ইউপি মেম্বর রেখা খাতুন তার মালয়েশিয়া প্রবাসী ভাই সিন্টুর (৪০)সাথে তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। মেয়ে লেখা পড়া করাতে চাই এমন কথা বলে ইউপি মেম্বরের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গত ২৬ নভেম্বর সকালে রেখা আলমগীর মেয়েকে তার প্রবাসী ভাইয়ের সাথে বিয়ের জন্য তার বাড়িতে হুমকি প্রদান করে।
২৭ নভেম্বর সকালে মেয়ে সরসকাটি বাজারে তার মামা অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যের বাড়িতে যাচ্ছিল। সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আলমগীর ও তার স্ত্রী রেখা আলমগীর মোটর সাইকেলে মামার বাড়ি পৌছে দেওয়ার কথা বলে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। মেয়ের মামা জানান, বোন ও বোন জামাইয়ের মাধ্যমে বিষয়টি জানাতে পেরে ’স্থানীয় সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই তৌফিক টিপুকে অবহিত করি। ২৮ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে এসআই তৌফিক টিপু রেখা আলমগীরের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ২৯ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে মেয়েকে তার অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলে আসেন।
পরদিন রোখা ও আলমগীর মেয়েকে ফেরত না দিয়ে বাড়ি থেকে সরে পড়ে। পরে তারা স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈকিত নেতাদের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার জন্য দেন দরবার করে আসছে।একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মেয়েকে উদ্ধারের জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে কলারোয়া থানার ওসি তদন্ত হাফিজুর রহমানের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলমগীর হোসেন জানান, মুন্নিকে তার প্রবাসী শ্যালকের সাথে বিয়ের কথা বলা বলি হয়েছিল। মেয়ে পক্ষ বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি এ নিয়ে আর গুরুত্ব দেয়নি।
ইউপি সদস্য (সংরক্ষিত) রেখা আলমগীর জানান, মেয়েটি দেখতে সুন্দরী হওয়ায় সিন্টুর সাথে তার বিয়ের দেওয়ার জন্য মেয়েটির বাবা মাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারা রাজি হয়নি। মেয়েটি কোথায় আছে তা তিনি জানেন না। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তার বাবা অসুস্থ তিনি এখন ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের আমানুল্লার বাড়িতে গত ২৭ তারিখ থেকে অবস্থান করছেন।বুধবার সন্ধ্যায় অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। বুধবার রাত ১১টায় অপহৃত স্কুল ছাত্রীর পরিবার মামলা করতে চায়। কিন্তু মামলা না নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে কলারোয়া থানার ওসি তদন্ত হাফিজুর রহমান। এবিষয়ে কলারোয়া থানার ওসি তদন্ত হাফিজুর রহমান জানান, কোন চাপ বা অর্থের বিনিময়ে নয়। তার পরিবার স্বেচ্ছায় বিষয়টি মিমাংসা করে নিয়েছে।