ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া সাতক্ষীরা:বরের আসন থেকে শুরু করে বিয়ের সকল আয়েজন ডেকোরেশন প্রস্তুতি শেষ রান্নাও চলছিল বর পক্ষ ও আত্মীয় স্বজনের জন্য৷
বর পৌছালেই বিয়ে হবে এমন অপেক্ষায় কনেপক্ষ কিন্তু বর পৌছানোর আগে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীর জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি করে বাল্যবিবাহের আয়োজন করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচলনা করে কনের বাবাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন৷
গতকাল শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকালে উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাদিয়ালি গ্রামের কার্জন বাড়ি এলাকায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুলী বিশ্বাস৷
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও রুলী বিশ্বাস বলেন, বাল্যবিবাহ হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাদিয়ালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীর মূল জন্ম নিবন্ধন পত্রের বয়স গোপন রেখে জাল নিবন্ধন পত্র তৈরী করে ১৮ বছর বয়স দেখিয়ে বাল্যবিবাহের আয়োজন করে কনের পরিবার৷ পরে জন্ম নিবন্ধন পত্রে জালিয়াতি ও বাল্যবিবাহের অপরাধে কনের বাবাকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭” এ ৫/৩ ধারা মতে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে৷ ও বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিবাহ না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে৷
ভাদিয়ালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা বিদ্যালয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করলেও অভিভাবকরা মানতে চাইনা গোপনে স্কুল পড়ুয়া অল্প বয়সী মেয়েদের বিবাহ দিচ্ছ করোনাকালীন সময়ে অধিকাংশ মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে৷ লেখা পড়া ও সংসার জীবন সমাজে দুইটা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু মেয়েদের বাল্যবিবাহ দিলে এ দুই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে ঝরে পড়ে ক্ষতি গ্রস্থ হয়৷