যশোর প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুরের মোহনপুর হাসপাতাল মোড়ের একটি বাড়ির যাতায়াতের পথ বন্দ করে দিয়েছে হাসান আলী ও তার তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন। আর একারনে অসহায় পরিবারটি তাদের বাড়িঘর থেকে বাইরে বেড় হতে পারছেন না।ছেলে মেয়ে স্কুল কলেজে যেতে ও পারছে না। এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পরিবারটি। তারা অন্য পরিবার বা প্রতিবেশিদের থেকে একেবারে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।

মনিরামপুর পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন রাস্তার দখল ছেড়ে দিতে বললেও কর্ণপাত কনেনি দখলদার সন্ত্রাসীরা। বাড়িতে যাতায়াতের পথ বন্ধ হওয়ায় পরিবারের বাসিন্দারা এখন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

আজ রোববার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা।
অনেক অসহায়ত্বের মত কাতর হয়ে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন জানান,আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৯৮ নম্বর মোহনপুর, মৌজায় ৫৪ শতক জমির মধ্যে হাল ৭৫৭ দাগে ৪৯ শতক রেকর্ড হয়। এর মধ্যে ৮ শতক জমিতে আমার দোতলা বাড়ি। এ বাড়িতে আমি দীর্ঘ ১৮ বৎসর যাবৎ বসবাস করছি। রেকর্ড বাদে এই দাগের ৫ শতকের মধ্যে ২ শতক জমি রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে আসছি আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা।

তিনি বলেন, আমি প্রবাসে থাকাকালিন সময়ে বিজয়রামপুর গ্রামের হাসান আলী, মোহনপুরের মফিদুল ইসলাম শরীকের সাথে শলা পরামর্শ করে আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিসাধন করার ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই ধারাবাহিকায় মফিদুল ইসলামের আরএস ৪৪ খতিয়ান থেকে ২ শতক জমি কেনেন হাসান আলী। হাসান আলী এ দাগের জমির সাথে আমার রাস্তাসহ ২.২৬ শতক জমি দখল করে নেন।

হাসান আলী এ জমি শুধু দখল নয় তিনি আমার বাড়ি যাওয়ার সামনের রাস্তায় দোকান ঘর নির্মান করে রাস্তা ঘিরে দিয়েছেন। আমার স্ত্রী লোকজন নিয়ে হাসান আলীর বাড়িতে যান। সেখানে ফরিদুলকে পেয়ে রাস্তার দখল ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা রাস্তা ছাড়ার কোন কথা শুনতে নারাজ। এ ব্যাপারে কোন প্রকার শালিস দরবার করলে খুন জখম করবে বলেও আমার স্ত্রী ও সন্তানদের হুমকি দেন।

তিনি আরও বলেন, আমি দেশে ফিরে পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। পৌর ও উপজেলা কতৃপক্ষ জমির কাগজপত্র দেখে আমার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। পৌর ও উপজেলা কতৃপক্ষের এ আদেশ অমান্য করে তারা আজও রাস্তা দখল করে আছেন।

এ অবস্থায় আমি কিছু বলতে গেলে তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমি বাড়িঘর ছেড়ে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছি। তিনি দখল করে নেয়া রাস্তা খুলে দেয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।

প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ,আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ,ছেলে ফয়সাল ইসলাম, ও মেয়ে ফারিয়া আফরিন।




Leave a Reply

Your email address will not be published.