রাকিবুল হাসান : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা সদরে প্রেগন্যান্ট কেয়ার কর্নারের বিরুদ্ধে ভূল চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। এই ঘটনায় প্রেগন্যান্ট কেয়ার কর্নার এর কতৃপক্ষ ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন মহলে তদবির চালাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।

প্রেগন্যান্ট কেয়ার কর্ণার এর বিরুদ্ধে এর আগেও একটি অভিযোগ উঠেছিল। তবে প্রেগন্যান্ট কেয়ার কর্ণার কতৃপক্ষের এই বিষয়ে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে পরে কথা বলবে বলে এই প্রতিবেদকে জানিয়েছেন। প্রেগন্যান্ট কেয়ার কর্ণার এর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্ব আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। বিভিন্ন পত্রিকা সূত্র ও খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলার আবাদচন্ডিপুর ( চুনা) গ্রামের অসুস্থ ফাতেমার পিতা মোঃ রেজাউল ইসলাম গাঁতিদার (৪২) শ্যামনগর থানায় অভিযোগ করেছেন। গত ১০ আগস্ট ২০২১ মেয়ের অপচিকিৎসার কারণে আইনি সহযোগিতা চেয়ে এ অভিযোগটি দায়ের করেন তিনি। অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, গর্ভবতী মেয়ে ফতেমা খাতুন (২১) হঠাৎ অসুস্থ হলে তার সুচিকিৎসার জন্য শ্যামনগরে প্রেগন্যান্ট কেয়ার কর্নারে নিয়ে আসে।

এসময় মেয়ের চিকিৎসার কথা বলে প্রেগন্যান্ট কেয়ার কর্নারের কতৃপক্ষ ডাঃ রেহানা পারভীন (৪৫) ফাতেমাকে নিয়ে ঔষধ দ্বারা ভুল চিকিৎসা দিয়ে পেটের শিশু সন্তান নষ্ট করে। এক পর্যায়ে ডাক্তার রেহানা পারভীন তার মেয়ের জরায়ু নাড়ি বের করে ফেলে বলেও অভিযোগ করা হয়। এর ফলে ফাতেমার পেটের শিশু সন্তানটি মারা যায়। বর্তমানে ফাতেমার পিতা ফাতেমাকে মৃত্যু শয্যা অবস্থায় খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসাধীন দিচ্ছে। অসুস্থ ফাতেমার শরীরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এর ফলে তার শরীরে রক্ত দেওয়া লাগবে। অপারেশন করতে হবে বলে জানিয়েছেন মি. রেজাউল। এদিকে রেজাউল ইসলাম অভিযোগে আরও বলেন, মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে দেখে ডা: রেহানা পারভীনকে চিকিৎসার জন্য বার বার অনুরোধ জানানো সত্বেও তিনি কোন গুরুত্ব দেননি। বরং তিনি ঘটনা অস্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। বিভিন্ন ধরনের ভয় -ভীতি হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। ফাতেমা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তেছে। রেজাউলের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে মেয়ের উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

জীবন বাঁচাতে এবং ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দরিদ্র পিতা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোর্শেদ এই বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *