সমাজের আলো : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লাবসা ইউনিয়নের খেজুরডাঙ্গা গ্রামের এক স্কুল ছাত্রীকে বাল্যবিবাহ হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছে।শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার খেজুরডাঙ্গা এলাকার মিলন সরদারের দ্বিতীয় কন্যা সাদিয়া সুলতানা কেয়া (১৫) এর সাথে একই উপজেলার খড়িবিলা এলাকার হাসান মিস্ত্রির পুত্র সিদ্দিকুর রহমান (১৭) এর বিয়ের আয়োজন করে। খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরার নেতৃত্বে খেজুরডাঙ্গা এলাকার মিলন সরদারের কন্যা সাদিয়া সুলতানা কেয়া (১৫) এর বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করেন। এসময় কন্যার পিতা মিলন সরদারকে বাল্যবিবাহ আইন (৮) এর ধারায় ভ্রামম্যাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা। একই সাথে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কন্যাকে বিবাহ না দেওয়ার জন্য কন্যার পিতার কাছ থেকে লিখিত মুচলেকা নেওয়া হয়। একই সাথে কন্যাকে স্কুল কলেজে লেখাপড়া করার পরামর্শ দেন তিনি।নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, কোনো পিতা-মাতা যদি ১৮ বছর নিচে মেয়ে ও ২১ বছর নিচে ছেলে বিয়ে দেয় তাহলে সাথে সাথে প্রশাসনকে খবর দিবেন অথবা ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরকে জানাবেন। ছেলে মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেওয়া দন্ডীয় অপরাধ যোগ্য। ছেলে মেয়ের উভয় পক্ষের পিতা মাতা যদি ১৮ বছর নিচে মেয়ে ও ২১ বছর নিচে ছেলে বিয়ে দিলে উভয় পক্ষকে জেল দেওয়া হবে। বাল্যবিবাহ যাতে না হয় সবাই মিলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে। বাল্যবিবাহ না দিয়ে ছেলে মেয়েদেরকে লেখাপড়া করতে স্কুল- কলেজে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এসময় সদর থানার পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর দেব কুমার, তৈয়বুর রহমান, লাবসা ইউপি সচিব মতিয়ার রহমান, ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম, বিশ^জিৎসহ গ্রামপুলিশ উপস্থিত ছিলেন।




Leave a Reply

Your email address will not be published.