সমাজের আলো : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে এক মহিলার সাথে এক ইউপি মেম্বরের সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় দুই সন্তানের জননীর স্বামী হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের মৃত সৈয়দার রহমানের পুত্র ইউপি মেম্বর শফিকুল ইসলামসহ দুই সন্তানের জননীর নামে সদর থানায় অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসি জানান, ১৯ বছর আগে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের এক কন্যার সাথে একই উপজেলার আইয়ুব গাজীর ছেলে হাফিজুর রহমান মুসলিম শরিয়াতে বিবাহ করে। এরপর তাদের ঘরে পরপর দুটি সন্তান আসে। এক ছেলে ও এক মেয়ে হয়। বর্তমান এখন তাদের ছেলের বয়স ১৮ বছর ও মেয়ের বয়স ১৬ বছর। হাফিজুর রহমানের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, হাফিজুর রহমান একজন প্রাইভেটকার চালক। সে প্রায় সময় জেলার বাইরে থাকেন। হাফিজুর রহমান বাইরে থাকার সুবাদে দীর্ঘ দুই বছর ধরে হাফিজুর রহমানের দুই সন্তানের স্ত্রীর সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে গত ৩০ জুলাই অনুমান সকাল ১০টার দিকে একই উপজেলার থানাঘাটা এলাকায় এক জনৈক বাড়িতে হাফিজুর রহমানের স্ত্রী ও শিবপুর ইউপি মেম্বর শফিকুল ইসলামকে গোপন সম্পর্ক ধরে ফেলে হাফিজুর রহমানসহ আরো অনেকে। হাফিজুর রহমান জানান, তার মেয়েকে আনতে যাওয়ার কথা বলে হাফিজুর রহমানের স্ত্রী তার বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তার স্ত্রী বের হবার সাথে সাথে হাফিজুর রহমান গোপনে স্ত্রীর খোজে বের হয়। এরপর থানাঘাটা এলাকায় এক জনৈক বাড়িতে গোপন সম্পর্ক ব্যাপারে ধরে ফেলে। এরপর সেখান থেকে হাফিজুর রহমানের স্ত্রী তার বাপের বাড়িতে চলে যায়। তিনি আরো বলেন, আমার স্ত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে গোপনে সম্পর্ক গড়ে তোলে। আর গোপনে সম্পর্ক গড়ে তোলার সুবাদে আমার স্ত্রী নামে এনজিও সমিতির থেকে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করে। এমনকি আমার স্ত্রীর সাথে গোপনে সম্পর্ক গড়ে তোলার সুবাদে আমার প্রায় তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আমার ঘর ভেঙে দিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে ইউপি মেম্বর শফিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে ইউপি মেম্বার শফিকুল ইসলাম বলেন, হাফিজুর রহমানের স্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। হাফিজুর রহমানের স্ত্রী তার স্বামীর সঙ্গে গোলযোগ করে বাপের বাড়ি চলে গেছে। আপনি যা শুনেছেন সবই ঘটনা মিথ্যা। একটি মহল আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। সদর থানার পুলিশের এক কর্মকর্তার সাথে অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমার জানা নেই। তবে বাদিকে থানায় যোগাযোগ করতে বলেন, বিষয়টি শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *