নিজস্ব প্রতিনিধি: পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে স্বামী-সন্তান ফেলে এক গৃহবধূ অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে প্রায় চার মাস পর এলাকায় ফিরে এসেছে বলে নানান গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ঘটনাটি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর এলাকার।
এলাকাবাসী সমাজের আলোকে জানায়, ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের তাপস সাহা ওরফে বাকিমের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী তাপসী রানী সাহা (৪৬) গত ২০ ফেব্রুয়ারী পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে একই গ্রামের মৃত সন্তোষ ঘোষের পুত্র ঔষধ ব্যবসায়ী ও দুই সন্তানের জনক তাপস ঘোষ (৫০) এর সাথে উধাও হয়। এ ঘটনার পর বিষয়টি এলাকায় ধীরে ধীরে প্রকাশ পেয়ে যায়।
এদিকে পরিবারের সম্মান বাঁচাতে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত ও ধামাচাপা দিতে তাপসী রানী সাহার শ্বশুর বাড়ি ও বাপের বাড়ির লোকজন তৎপর হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত তাপসী রানী সাহার পিতা বাদী হয়ে নাটকীয় ঘটনা সাজিয়ে মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে মর্মে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ থানায় একটি জিডি করে। যার জিডিনং-১০৩৯, তাং-২২/০২/২০২১ ইং।
অপর একটি সূত্র জানায়, ঘটনাটি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ তদন্তে নামে। এতেই সবকিছু পরিষ্কার হয়। পুলিশ দুই প্রেমিক-প্রেমিকা তাপসী রানী সাহা ও তাপস সাহার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং শুরু করে। মোবাইল নেটওয়ার্কে তাদের সর্বশেষ অবস্থান ভোমরা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা শনাক্ত হয়। ততক্ষন তারা দুইজন ভারতে পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ ধারণা করে।
ঘটনার বিষয়ে তদন্তাধীন কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার এস,আই শরিয়াতুল্যার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রহ্মরাজপুর এলাকার এক ব্যক্তি জানান, ইতিপূর্বেও একবার চলে গেছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।
তাপসী রানী সাহা সম্প্রতি এলাকায় ফিরে এসে স্বামীর বাড়িতে উঠার চেষ্টা চালিয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। তবে স্বামী মেনে নিতে চাইলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা বিষয়টি মানতে নারাজ। যে কারনে তাপসী রানী সাহা বর্তমানে বাপের বাড়িতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, পরকীয়া প্রেমিক তাপস সাহা চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রায় দুই কোটি টাকার সম্পত্তি বিক্রি করে প্রেমিকা তাপসী রানী সাহাকে নিয়ে নতুনভাবে সংসার করার জন্য ভারতে পাড়ি জমায় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
তাপসী রানী সাহার স্বামী কাঠ ব্যবসায়ী তাপস সাহা ওরফে বাকিম এ প্রতিবেদককে মোবাইলে জানান, তাপস ঘোষের সাথে আমার স্ত্রী ইন্ডিয়া চলে গেছে। এলাকায় ফিরে আসার খবরটি তার জানা নেই বলে দাবী করেন।