সমাজের আলো : আশাশুনি উপজেলার ১১ ইউনিয়নে সম্পূর্ণ অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বে-সরকারীভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে বুধহাটা, দরগাহপুর, আশাশুনি সদর ও খাজরায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা, কুল্যা, বড়দল ও শ্রীউলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা এবং শোভনালী, আনুলিয়া ও প্রতাপনগরে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বুধবার সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে এ ভোট গ্রহণ।একাধিক ভোটার স্বত:স্ফুর্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে ভোট প্রদান করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বে-সরকারী ফলাফলে উপজেলার ১১ ইউপিতে বিজয়ী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন, শোভনালীতে জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা আবু বক্কর চশমা প্রতীক নিয়ে ৬৬৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভু চরণ মন্ডল পেয়েছেন ৫৩৪৩ ভোট। বুধহাটায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক ডাবলু নৌকা প্রতীক নিয়ে ৮৯৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল হান্নান ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৫২৫ ভোট। কুল্যায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ওমর ছাকী ফেরদৌস (পলাশ) আনারস প্রতীক নিয়ে ১১৩৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৫৮৩ ভোট। দরগাহপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মিরাজ আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫৫৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী স ম জমির উদ্দীন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩৫৬ ভোট। বড়দলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র সানা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৬৪৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মন্টু মোল্যা টেলিফোন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৫৩০ ভোট। আশাশুনি সদর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে ৮৮৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স ম সেলিম রেজা মিলন চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৫৮৩ ভোট। শ্রীউলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রভাষক দিপংকর বাছাড় দিপু আনারস প্রতীক নিয়ে ৮৯৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা সাকিল নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫০১৮ ভোট। খাজরা ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭৬২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অহিদুল ইসলাম মোল্যা আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭২১৭ ভোট। আনুলিয়া ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস আনারস প্রতীক নিয়ে ৮২৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ নেতা শাহাবুদ্দীন সানা নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৬৩৮ ভোট। প্রতাপনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী আবু দাউদ আনারস প্রতীক নিয়ে ৮৪৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ জাকির হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২০২ ভোট। কাদাকাটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দিপংকর কুমার সরকার নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩৯৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মন্টু আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১২৪ ভোট। উল্লেখ্য, উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৫৬ জন প্রার্থী নির্বাচন করেছেন। যার মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক ১১ জন, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীক ২জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীক ৪ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীক ১ জন ও বাকী ৩৮ জন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন।




Leave a Reply

Your email address will not be published.