রবিউল ইসলামঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি পুরানো বিদ্যাপিঠ। এক সময়ে এই প্রতিষ্ঠান থেকে লেখাপড়া শিখে দেশের বিভিন্ন দপ্তরের সচিব, উপসচিব এবং এই স্কুল থেকে লেখাপড়া করে এনবিআরের চেয়ারম্যান পর্যন্ত হয়েছে। এছাড়া জেলা উপজেলায় অনেকেই বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি – বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, সেই সময়ে এই স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে নৈতিকতা ছিল। ছাত্র ছাত্রীদের ভালোবাসা বা আন্তরিকতা ছিল। শিক্ষকদের দেখলে ছাত্র ছাত্রীরা সম্মান করতেন। সেই সব স্যারেরা কেউ অবসরে আছেন কেউ বা পরপারে চলে গেছেন। বর্তমানে এই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য হয়েছিল বলে গুঞ্জন চলছিল। এখানে প্রধান শিক্ষক শামিম আহমেদের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নিয়েছে বলে গুঞ্জন চলছিল সর্বত্র। যে কারণে এই বিদ্যালয় থেকে আগের মত এখন আর ( লক ডাউনের আগে) ছাত্র ছাত্রীদের রেজাল্ট ভালো না। কতিপয় শিক্ষকের কারণের নুরনগর ইউনিয়ন শিক্ষার আলো থেকে অন্ধকারে চলে যাচ্ছে। এই সব ঘটনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মত কেউ থাকে না। তবে অনেকেই পিছনে পিছনে সমালোচনা করতে দেখা যায়। কিন্তু আগামি কাল শনিবার বিকেলে মানববন্ধন করার কথা রয়েছে। এরই মধ্যেই আবারও ছাত্রী কেলেঙ্কারির আলোচনায় এসেছে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিম আহমেদ। প্রধান শিক্ষক শামিম আহমেদ এর আগে নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হাজীপুর গ্রামের এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। নুরনগর ইউনিয়নের দূরমুছ খালীর এই বিদ্যালয়ের আরও এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার খবর চাউর হয়েছিল। তবে তখনও গুঞ্জন চলছিল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়গুলো ধামাচাপা পড়ে যায়। প্রধান শিক্ষক হওয়ার পরে আবারও আলোচনায় মি. শামিম আহমেদ। তবে এবারের বিষয়টি একটু ভিন্ন আকারে রুপ ধারণ করেছে। যেহেতু সংখ্যালঘু এক হিন্দুর পরিবারের অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক মেয়ের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে চরিত্র নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে। ছাত্রীদের পড়ানোর বিষয়ে খোঁজ খবর না নিয়ে শারীরিক খোঁজ খবর নেওয়া যেনো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা ছিল। কেউ কেউ ওই স্কুলে মেয়েদের ভর্তি করা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের পরিবারে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। কেউ কেউ শিক্ষক শামিমের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমান সাপেক্ষে দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষক শামিম আহমেদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, তিনি ওই মেয়েকে বিয়ে করছেন তবে জন্মনিবন্ধন অনলাইনে আবেদন ১৮ বছর পুর্ণ করেছেন। এই খবর প্রচার হওয়ার পর এই ঘটনায় সর্বশেষ কোন দিকে যায় তা এখন দেখার বিষয়। এই বিষয় প্রবীণ ইউপি সদস্য ও আসন্ন ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মীর আলী মোল্লা এই প্রতিবেদকে বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়ে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল, আজ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ, এই ঘটনার তদন্ত পুর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।




Leave a Reply

Your email address will not be published.