শহিদ জয় যশোর : ভারতীয় ভিএইচ গ্রুপের উত্তরা ফুডস অ্যান্ড ফিডসের ‘প্রতারণায়’ পথে বসার উপক্রম বাংলাদেশের প্রায় ৭০টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। বিগত ৪/৫ বছর যাবত তাদের পাওনা প্রায় ১৬ কোটি টাকা পরিশোধ না করে তালবাহানা করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ১৬ কোটি টাকা পরিশোধে কয়েকদফা সময় নিলেও দেয়া হয়নি একটি টাকাও। বরং এই কোম্পানিটি তাদের যশোরে থাকা দুটি কারখানার একটি ভাড়া এবং অপরটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বলে সংবাদ সন্মেলেনে পাওনাদারররা জানান। আজ ২৬ আগস্ট, (বুধবার) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে কাঁচামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের মালিক এইসব অভিযোগ উত্থাপন করেন। টাকা বকেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে উত্তরা ফুডস অ্যান্ড ফিডসের অডিটর সন্দীপ তাভানি বলেন, গত মার্চ মাসে তাদের সমুদয় পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেটি দেরি হয়ে গেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঢাকার তুর করপোরেশনের মালিক পল্লব সমীর কুদরতে খুদা ব্রেজনেভ বলেন, এই কোম্পানিটি যশোরে প্রতিষ্ঠার পর থেকে (২০১১ সাল) আমরা কাঁচামাল সরবরাহ করে আসছি। মালামাল প্রদানের এক মাসের মধ্যে আমাদের বিল পেমেন্ট করার কথা। সেই অনুযায়ী আমরা দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৭০টি প্রতিষ্ঠান তাদের কাঁচামাল সরবরাহ করে আসছি। কিন্তু গত তিন বছর ধরে আমাদের পাওনা পরিশোধ নিয়ে তারা গড়িমসি করছে। তিনি বলেন, বর্তমানে অমাদের দেশে পোল্ট্রিশিল্প একটি ঈর্ষণীয় পর্যায়ে এসেছে। গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে দেশের এই সফল শিল্পে বিদেশি কোম্পানি এদেশে ব্যবসা করতে এসে সাধারণ ব্যবসায়ীদের সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। সংবাদ সন্মেলনে তিনি আরো জানান, পাওনা আদায়ে তাদের সাথে বহু তাগিদ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি যশোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে। কোম্পানি এই পাওনা পরিশোধে গত ১৫ মার্চ কিছু ছাড়ের বিনিময়ে শোধ করার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু তা করা হয়নি। এরপর জুন মাসে পরিশোধের সময় নেয়; কিন্তু প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। আরেক প্রতিষ্ঠান সততা ট্রেডার্সের মালিক একেএম আসাদুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন জেলার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের কাঁচামাল সয়াবিন, ভুট্টা, ফিস অয়েল, আটা, ময়দা ইত্যাদি সরবরাহ করেছি। আমি তাদের কাছে ৬কোটি ৪১ লাখ টাকা পাবো। এখন ব্যাংকসহ বিভিন্ন পাওনাদারদের কারণে বাড়িতে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে। আমরা ওই টাকার জন্যে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। অথচ, ভিএইচ গ্রপি বিশ্বের প্রায় ৪৪টি দেশে এই ফিডের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করছে। সংবাদ সম্মেলনে তারা ছাড়াও বিএস অ্যাগ্রোর আশরাফুল আলম, পিকে এন্টারপ্রাইজের দিপা রাণী নাথ, ইয়ন গ্রুপের ফরিদুজ্জামান, ইনোভেট বিডির কাজল দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় ভিএইচ গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা পোল্ট্রি ও ফিস ফিড উৎপাদন করে বাজারজাত করেন। #




Leave a Reply

Your email address will not be published.