সমাজের আলো : ঢাকার ধামরাইয়ে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে এক বিধবাকে গণ*ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে ওই বিধবার ঘরে গচ্ছিত নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারও লুটপাট করা হয়েছে।এ ধ*র্ষণের ঘটনায় সাইজুদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে আট*ক করা হলেও তার ৩-৪ জন সহযোগী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এলাকাবাসী ওই ধ*র্ষণকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।এদিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ধ*র্ষিতা ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।মঙ্গলবার ভোরে ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ চুরির ধারায় একটি মাম*লা দায়ের হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ধামরাই থানার পুলিশ সূত্র।
ভুক্তভোগীর পরিবার স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধ*র্ষিতার স্বামী বেশ কিছুদিন আগে তিনটি কন্যাসন্তান রেখে মারা গেছেন। পরে সেই মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ওই নারী তার স্বামীর ভিটায় একাকী বসবাস করে আসছেন। তিনি রাজমিস্ত্রির সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।ওই ধ*র্ষকরা পথে-ঘাটে বাড়িতে যেখানে একা পায় সেখানেই তাকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিত ও উত্ত্যক্ত করত। ওই বিধবা তাদের কথায় সাড়া না দিয়ে বিষয়টি গ্রামহিতৈষীদের কাছে জানালে ধ*র্ষকরা ওই নারীর ওপর ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়।
এরই জের ধরে সোমবার ভোরে একই গ্রামের সাইজুদ্দিনসহ চারজন সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে ওই বিধবার মেয়েদের দেওয়ার জন্য অতিকষ্টে সঞ্চিত নগদ এক লাখ টাকা ও ১ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুট করে। বিধবা বাঁধা দিলে তাকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে চারজন পালাক্রমে ধ*র্ষণ করে। এ সময় তার ডাকচিৎকারে আশপাশের বাড়ির লোকজন দৌড়ে এসে সাইজুদ্দিন নামে ওই ধ*র্ষককে আট*ক করেন। তবে আরও তিন ধ*র্ষক জনতার চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।