যশোর প্রতিনিধি : কাবিননামায় জালিয়াতি করে বেশি দেনমোহর লেখায় দুই কাজী, স্ত্রী-শ্বশুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের ফজলুল হক সানার ছেলে সাবেক বিমান বাহিনীর সদস্য শাহিনুর আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, যশোর সদরের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মুনতাজ আলী সরদার ও তার মেয়ে এবং শাহিনুর আলমের স্ত্রী সারমিন সুলতানা, শাহিনুর আলমের আপন চাচা খুলনা কয়রার ২ নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম, মণিরামপুরের হরিদাসকাঠি ইউনিয়নের কাজী হাফেজ সফিয়ার রহমান ও যশোর সদর উপজেলার আরপুর ইউনিয়নের কাজী আব্দুল হামিদ।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, শাহিনুর আলম বিমান বাহিনীতে চাকরি করতেন ও তার চাচা রেজাউল করিম বিমান বাহিনীতে এখনও চাকরি করেন। চাচার শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়তার সুবাদে সারমিন সুলতানাকে বিয়ের জন্য প্রলুব্ধ করেন। একপর্যায়ে পারিবারিক ভাবে সম্মতি হয়ে শাহিনুর এক লাখ টাকা দেনমোহরে ২০১৫ সালে হাফেজ সফিয়ার রহমানের বাড়িতে বিয়ে হয়। এ সময় কাবিননামায় দেনমোহর লেখা হয় এক লাখ টাকা। পরে তিনি জানতে পারেন কাবিনে দেনমোহর ছয় লাখ টাকা লেখা হয়েছে। শাহিনুর আলম এর প্রতিবাদ করলে আসামিরা ভুল স্বীকার করে পুনঃরায় কাবিন করার আশ্বাস দেন। ২০২১ সালের ৪ জুন আসামিরা শাহিনুর ও তার পিতাকে সাথে নিয়ে যশোর শহরতলীর আরবপুর ইউনিয়নের কাজী আব্দুল হামিদের কাছে যান। সেখানে কাজী নতুন কাবিননামা তৈরী করে তাতে সকলের উপস্থিতিতে একলাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারন করে পূরণ করেন। এরপর শাহিনুর রহমান কাবিননামার সত্যায়িত কপি তুলে দেখেন আসমিরা জালজালিয়াতি করে এবার সাতলাখ টাকা করেছে। এরপর হাফেজ সফিয়ার রহমানের কাছে কাবিনের সত্যয়িত কপি চাইলে তিনি ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। একর্পায়ে কাজী কাবিনের সত্যায়িত কপি দিতে অস্বীকার করেন। আসামিদের অত্যচারে অতিষ্ট হয়ে শাহিনুর আলম বিমান বাহিনীর চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। প্রতারণার মাধ্যমে জালজালিয়াতি করে আসামিরা কাবিননামায় ভুয়া দেনমোহর সৃষ্টি করার তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
![](https://i0.wp.com/samajeralo.com/wp-content/uploads/2020/11/Noyon-Mondal.gif?resize=100%2C100&ssl=1)