শ্যামনগরের উপর দিয়ে  প্রবাহিত আদি যমুনা নদীর সীমানা চিহ্নিত করন, নদীকে দখলমুক্ত করা ও সিডিউল মাফিক খনন করার দাবীতে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ইং  ৯ ই মে মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় আদি যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আয়োজনে শ্যামনগর চৌরাস্তার মোড়ে যমুনা নদীর তীরে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আদি যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক  অধ্যক্ষ আশেক ই-এলাহীর সভাপতিত্বে ও শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি গাজী ইমরান এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা নারী ও শিশু কোটের  পিপি ও শ্যামনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান (শ্যামনগর পৌরসভার স্বপ্নদ্রষ্টা)এ‍্যাড: এস এম  জহুরুল হায়দার বাবু, এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি  আলহাজ্ব জি এম আকবর কবীর, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল,  মহিলা মেম্বর দেলোয়ারা বেগম প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের স্বতঃস্ফূর্ত   সহস্রাধিক নারী-পুরুষ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শ্যামনগর ইউপি চেয়ারম্যান এ‍্যাডঃ এস এম  জহরুল হায়দার বাবু বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি অবৈধ  স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হয়  তাহলে শ্যামনগরের আপামর জনসাধারণ  কাঁচতে কোদাল নিয়ে এই নদী কাটার জন্য প্রস্তুতি নেবে। সেদিন কিন্তু কাউকে  আটকে রাখতে পারবেন না। আমরা চাইনা কোন রেকর্ডিও জমির মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক।আমরা চাই খাস জমি প্রকৃত মাপ জরিপ করে, সেই অনুযায়ী উচ্ছেদ করে যমুনা নদী খনন করতে হবে।  আমরা চাই আবারো যমুনা নদীতে জোয়ার ভাটা খেলুক।তিনি আরো বলেন, আমরা প্রয়োজন হলে বিভাগীয় কমিশনার ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে যাব। শ্যামনগরে  কোন ভূমিদস্যু যাতে মাথা চাড়া দিতে না পারে সেই জন্য তাদেরকে বিষ দাঁত ভেঙে দেব।

অধ্যক্ষ আশেক ই-এলাহী বলেন, এই নদী সুন্দরবনে চলে গেছে,এই নদী দিয়ে এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং এলাকার প্রাণ বৈচিত্র রক্ষা, কৃষি ও মৎস্যজীবী মানুষের জীবনধারণে যমুনার প্রবাহ  সৃষ্টি করা প্রয়োজন কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ডের সীমাহীন দুর্নীতি এবং অনিয়মের কারণে।

প্রেসক্লাবের সভাপতি  জি এম আকবর কবীর বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী তন্ময় হালদার তার পেটুয়া বাহিনী ও তার চাঁদাবাজ বাহিনী দিয়ে বলা হচ্ছে, তোমার ঘর বাঁচিয়ে দেওয়া হবে, এই বলে কোটি কোটি টাকা লুট করা হচ্ছে। কোন সিডিউল মাফিক কাজ করা হচ্ছে না।অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ  করে শিডিউল মোতাবেক  কাজ চাই।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি গাজী ইমরান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের স্বার্থসিদ্ধি লাভের জন্য আদি যমুনা নদীকে খালে রূপান্তরিত করেছে। সেখান থেকে যমুনা নদী ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। আপনারা কোথায় পেলেন যমুনা খাল এর জন্য আপনাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




Leave a Reply

Your email address will not be published.