সমাজের আলো। ।সাতক্ষীরায় এক মানসিক প্রতিবন্ধী স্বামীকে ঘরে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখে চিকিৎসা ও খাবার থেকে বঞ্চিত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও এক পুত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় ঘটেছে। ঘরে অবরুদ্ধ থাকায় চিকিৎসা ও খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত ছাকাউদ্দীন আহমেদের পুত্র ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। মানসিক প্রতিবন্ধী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলামের ভাই গ্রাম্য ডাক্তার ছাইফুল্লাহ জানান, তার আপন মেজো ভাই শহিদুল ইসলাম একজন সরকারি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। এরপর স্কুল থেকে অবসরে যান। শহিদুল ইসলামের পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত কিছু জমি রয়েছে এবং প্রতিমাসে এখনোও অবসর সরকারি ভাতা পান। কিন্তু শহিদুল ইসলামের জমি লিখে নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগে রয়েছে তার স্ত্রী রাজিয়া খাতুন ও বড় ছেলে আনিছুর রহমান। দীর্ঘ ৮ মাস আগে মানসিক অসুস্থ হয়ে পড়েন শহিদুল ইসলাম। একপর্যায়ে শহিদুল ইসলাম মানসিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্ত্রী রাজিয়া খাতুন ও বড় ছেলে আনিছুর রহমান সব সময় ঘরের ভিতর তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখতেন। শহিদুল ইসলামকে চিকিৎসা করতে এবং রীতিমত খেতে দিতেন না তার স্ত্রী রাজিয়া খাতুন ও বড় ছেলে। শহিদুল ইসলামের চিকিৎসা ও খেতে দেওয়ার বদলে শহিদুল ইসলামকে সব সময় ঘরের ভিতর রেখে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। তিনি আরও জানান, শহিদুল ইসলামের স্ত্রী বুধবার সকালে তাকে ঘরের ভিতর রেখে তালা দিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যায়। ঘরে তালা দেওয়া থাকায় সারাদিন কেউ শহিদুল ইসলামের মুখে দিতে পারেনি খাবার। শহিদুল ইসলামকে চিকিৎসা ও খাবার কাউকে দিতে দেয় না তার স্ত্রী রাজিয়া খাতুন ও তার বড় ছেলে। এমনকি শহিদুল ইসলামের আপন ভাই একজন গ্রাম্য ডাক্তার হয়েও সব সময় ঘরের অবরুদ্ধ রাখার কারণে ভাইকে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। শহিদুল ইসলাম ঘরের ভিতর অবরুদ্ধ থাকায় সে না খেয়ে ও চিকিৎসা না পেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এ কেমন নিষ্ঠুর স্ত্রী ও ছেলে। শহিদুল ইসলামের চিকিৎসা ও খাবার দেওয়ার ব্যাপারে ভাই, ভাইপো ও ছোট পুত্র রোকনুজ্জামান প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হুমকি দেয় স্ত্রী রাজিয়া খাতুন ও বড় ছেলে। এব্যাপারে পুলিশ সুপারের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শহিদুল ইসলামের ভাই ছাইফুল ইসলাম।




Leave a Reply

Your email address will not be published.